পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ খুব সাধারণ একটি স্থাপনা মাত্র। তবে, কালের আবর্তনেএই স্থাপনাটিও হয়ে উঠেছে উল্লেখযোগ্য একটি পর্যটনস্থল। পাবনায় যাওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলেএই ব্রীজটিতে একবার হলেও চলে যেতেই পারেন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মাঝ পদ্মা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটির নাম পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ৪ মার্চ ১৯১৫ সালে এটি উদ্বোধন করেন। তার নামনুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ব্রিটিশ সরকার ভারত উপমহাদেশের রেল যোগাযোগের ব্যাপকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১২৬ বছর আগে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। বিশেষ করে ভারতের দার্জিলিং ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার সীমারেখা পদ্মা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেতুর বারতম স্প্যানটি মর্টারের আঘাতে ভেঙ্গে নদীতে পতিত হয়। স্প্যানটির এক প্রান্ত ভিত্তি স্তম্ভের সাথে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিল এবং অপর প্রান্তের ১২.১৯ মিটার দীর্ঘ অংশ ধ্বংস হয়েছিল। ১৫তম স্প্যানের একটি ক্রুজগার্ডার এবং দুটি স্ট্রিগার এবং দ্বিতীয় ভিত্তিস্তম্ভের উপরে ইস্পাত ট্যাসেলও মর্টারের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর সেতুটি পুনরায় চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেতুটি মেরামতের কাজ বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের ইস্টার্ন ইন্ডিয়া রেলওয়ে যৌথভাবে সম্পন্ন করে। বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে ট্রেনে বা বাসে করে ইশ্বরদী নামলেই পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজে পৌঁছে যাবেন আপনি।
Tags
ভ্রমন গল্প