কৃত্রিম ফুসফুস বানিয়ে হৈচৈ ফেলেছে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ছাত্রীরা

Image result for রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক
কৃত্রিম ফুসফুস বানিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্রী।
রুমান্তা হোসেন মৌ, নাইমা আক্তার আঁখি ও বিপাশা খাতুনের এই উদ্ভাবন প্রদর্শিত হচ্ছে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৮’তে।
এবারের প্রতিযোগিতার মঞ্চে চৌকস এই উদ্ভাবন নজর কাড়ছে সবার।
এর আগে মানুষের কৃত্রিম ফুসফুস আবিস্কার বিশ্বেবাসীকে তাক লাগিয়ে দেন বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা।
তবে টুম্পা আদতেই বিজ্ঞানী হলেও এই তরুণী কেবল পলিটেকনিক ছাত্রী।
ক্লাসের ফাঁকে  ষোলো পেরুনো এই তিন তরুণী মানুষের কৃত্রিম ফুসফুস বানিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে ফুসফুস চিকিৎসা ব্যয় বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্রকল্পটি খুবই উপযোগী ও সাশ্রয়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই তিন ক্ষুদে উদ্ভাবকের ভাষ্য,  তাদের এই যন্ত্র রোগীর অবস্থা অনুযায়ী নলের মাধ্যমে শ্বাসনালীতে সংযুক্ত করা সম্ভব।
এটি প্রকৃতি থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করবে। ফলে এখানে আলাদা করে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হবে না।
এদিক থেকে প্রচলিত ভেন্টিলেটরের তুলনায় এটি আধুনিক।
নিজেদের উদ্ভবন প্রসঙ্গে রুমান্তা হোসেন মৌ জানায়, এখনকার বাজারে প্রচলিত ভেন্টিলেটরের দাম  ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা।
তাদের লক্ষ্য ছিলো সাশ্রয়ী মূল্যের এই যন্ত্রটি তৈরী করা। আমরা আশাবাদী, এই যন্ত্রটি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা যাবে।
এমন উদ্ভাবনে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত এই তরুণী।
একই অনুভূতি আঁখি ও বিপাশার। তারা জানায়, কলেজে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এই কাজটি করেছে তারা।
এই উদ্ভাবনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন। আমরা এটি নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। এই কাজের সাফল্য তাদের আরো সামনে এগিয়ে নেবে-এমন আশাবাদ এই দুই ছাত্রীর।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্কুল অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট ২০১০ সাল থেকে স্টপ স্কিল কম্পিটিশন আয়োজন করছে।
এবারের প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে কানাডা ও বিশ্ব ব্যাংক।
Previous Post Next Post