করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের ছাত্র শরীফুল ইসলামের উদ্ভাবন নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। তিনি এমনই এক এয়ারকন্ডিশন (এসি) উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে ঘর ঠাণ্ডা হবে ঠিকই কিন্তু কোনো দূষণ ছড়াবে না। গত শনিবার মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসির জন্য তৈরি তাঁর প্রক্রিয়াটি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। সেখানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি উপস্থিত ছিলেন।
গণিত বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রটি পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত, যা ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি) গ্যাস ছাড়াই ঠাণ্ডাকরণ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। তিনি এর নাম দিয়েছেন শরীফ পিওর কুলিং টেকনোলজি (সংক্ষেপ এসপিসিটি)।
তিনি দাবি করেন, বর্তমান বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাস ব্যবহার করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র তৈরি করা হয়, যা বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এভাবে চলতে থাকলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসবে। এতে ক্যান্সারসহ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পাবে, ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ বাড়বে এবং চোখে অসময়ে ছানি পড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এক টন এসিতে যেখানে এক হাজার ৫০০ ওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেখানে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করবে। বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে ১০০ থেকে ১২০ ওয়াট। ১২ ভোল্টের ডিসি বিদ্যুতের মাধ্যমে যন্ত্রটিতে কোনো সিএফসি ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। এই প্রক্রিয়ায় খুবই স্বল্প পরিমাণে তাপ নির্গত হবে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া তুলে ধরতে চান।
শরীফ জানান, ২০১৬ সাল থেকে সে এ উদ্ভাবনী নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০১৭ সালের শেষের দিক পর্যন্ত পরপর তিনবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। ২০১৮ সালে তিনি সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি তাঁর উদ্ভাবনী প্রযুক্তি মেধাস্বত্ব চুরি হয়ে যেতে পারে জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া তুলে ধরতে চান।
Tags
খবর