ডিপ্লোমা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভোল্টেজ ল্যাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। অনেক ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা কমপ্লেট করার পর আমরা চাকুরী ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়ে থাকি। অনেকে এটাকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেই।
সত্যিকার অর্থে শিক্ষাঙ্গন ও চাকুরী ক্ষেত্রে সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। তাই অনেকে চাকুরী জীবনে এসে হতাশ হয়ে যায় বিভিন্ন কারনে। এই হতাশা থেকেই মূলত জীবনের ব্যার্থতা শুরু হয়ে থাকে। একটু সতর্ক হলেই আমরা এই ধরনের হতাশা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আর এই সতর্কতা হলো ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। বন্ধুরা, আজ আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সাথে কিছু ক্যারিয়ার পরিকল্পনা শেয়ার করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পূর্ন আমার ব্যাক্তিগত মতামত তাই সবাইকে অনুরোধ করছি, আমার ভুল হতে পারে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। তাহলে দেখা যাক ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কি কি করা যেতে পারে।
কিছু গুণাবলী থাকতে হবে
- আত্মপ্রত্যয়
- নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ নলেজ
- সাধারণ বিষয়ে জ্ঞান
- নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা
- বুদ্ধিমত্তা
- কাজ করার দক্ষতা
- ভুল থেকে শিক্ষা নেবার দক্ষতা
- অন্যের বেপারে সংশ্লিষ্ট থাকা
- যথাযথ বাচনভঙ্গি
- হাস্যরস
- সৌজন্যবোধ
- বিশ্বাস অর্জনের দক্ষতা
- ভাগ্য।
আপনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন কি?
- লক্ষ্য বা গোল যেটাই বলেন না কেন, মাঝি ছাড়া নৌকা আর লক্ষ্য ছাড়া জীবন একই।
- প্রয়োজনে লক্ষ্যগুলিকে কাগজে লিখে রাখুন এবং তা সকালে গুম থেকে উঠে ও রাতে গুমানোর আগে একবার করে দেখুন।
- লক্ষ্যগুলো অবশ্যই সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
- লক্ষ্যগুলি গুরুত্বঅনুযায়ী শ্রেনীবিভাগ করতে হবে।
লক্ষ্য ঠিক করার জন্য কিছু টেকনিক
- বাস্তবধর্মী
- সময়ের সঠিক ব্যবহার
- মনযোগ বা একাগ্রতা
- উদ্যোগ
- ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
- যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা
- নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া
- সঠিকভাবে কাজ করতে হবে
- পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা
- প্রতিদিনের কাজগুলো ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে রাখুন
- প্রতিটি কাজের পেছনে আপনি কত সময় ব্যয় করছেন তা ঠিক করুন
- প্রতিটি কাজে গড়ে কতটুকু সময় ব্যয় করা উচিত তা খুঁজে বের করতে হবে
- সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনার জীবনের মোড়কেও ঘুড়িয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনে আগামীকাল কি করবেন তা নোট করে রাখুন এবং সময়টাও সেট করে রাখুন পাশে। হাতের অতিরিক্ত সময় কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করুন।
কাজের চাপকে রিলিজ করুন/চাপের ব্যবস্থাপনা
আপনি যদি কাজের চাপ কমাতে না পারেন তবে তা আপনার ক্যারিয়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা অনেক নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে বড় হচ্ছি যার ফলে কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এজন্য কিছু বিষয় আমাদের নজর দিতে হবে।
- নিজের উপর বিশ্বাস করুন
- নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলুন
- মাথা ঠাণ্ডা রাখুন
- সবকিছু সহজে গ্রহন করুন
- নেতিবাচক বিষয়ে ইতিবাচকভাবে দেখতে শিখুন
এইসব বিষয়গুলো নিজের ভিতর আয়ত্ত করতে সময়সাপেক্ষ বেপার। তবে এগুলো আপনার ভিতর আয়ত্ত করতে হবেই যেকোনভাবে। এরজন্য আপনি মেডিটেশন করতে পারেন।
মেডিটেশন সাইন্টিফিক ভাবে প্রমাণিত যে একজন মানুষকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ব্যাখ্যা আপনারা অনলাইনে সার্চ করে দেখতে পারেন।
পরিশেষে একটি কথা, আপনি অন্য যে কারো কাছে উপদেশ নিতে পারেন কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে কারন জীবনটা আপনার। খেয়াল রাখবেন, কখনো অন্য কারো সিদ্ধান্ত যেন আপনার উপর চাপিয়ে না দেওয়া হয়।