শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশের চাকরিতে কোনো টাকা লাগবে না, কোনো প্রকার ঘুষ বা তদবির চলবে না। প্রার্থীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্নে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেছিলো জেলা পুলিশ কুড়িগ্রাম।
তারই ধারাবাহিকতায় শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগের পর সকলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার। এরপর পুরো নিয়োগ সম্পর্কে ফেসবুকে পোষ্ট দেনঃ
“তবে এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরই লোক ….
টানা পাঁচ দিনের ব্যস্ততা শেষে একটু থিতু হলাম।
আলহামদুলিল্লাহ
এই হাসি মাথা মুখগুলোর দেখারই অপেক্ষায় ছিলাম।
প্রথম দিন থেকেই নিয়োগের বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সকল অভিভাবকের নিকট প্রচারণা চালিয়ে যখন বুঝতে পারলাম কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফ এই চক্রের সাথে জড়িত তখন এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করলাম, চাকরীর জন্য দালালদের দেয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে পেরে শান্তি পেয়েছি। জড়িতরা যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।পাচ জন ক্লোজড, বদলী কয়েকজন।
পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স এর প্রতিনিধি আর বোর্ডের বাকি দুই সদস্য মিলে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি একটা স্বচ্ছ নিয়োগ দিতে, প্রার্থীদের হাসিমুখ দেখতে।
সকল প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা , পারিবারিক অবস্থা, শারীরিক সক্ষমতা বিচার করে নির্বাচনের চেষ্টা করেছি। ১০৩ টাকায় নয় ,মেধা ও যোগ্যতাই ছিল নিয়োগের মাপকাঠি।গত দুই সপ্তাহে কারা কারা জমি বিক্রি করেছে সে সকল তথ্য জোগাড় করে যাচাই বাছাই করার চেষ্টা করেছি কেউ কোন প্রতারকের টাকা দিয়েছে কিনা। আমি বিশ্বাস করি এইবার সূযোগ পাওয়া ছেলে মেয়েরা কর্ম জীবনে আমাদের এই প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করবে।
পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশন্ মেনে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য, সার্বিক সহায়তা দিয়েছেন সম্মানিত ডিআইজি স্যার, অনেক বিরক্ত করেছি এআইজি আর এন্ড সিপি নাসির স্যারকে, অশেষ কৃতজ্ঞতা স্যারদের প্রতি ।
শুভ কামনা বাংলাদেশ পুলিশে নতুন আগত কুড়িগ্রাম জেলার সন্তানদের ।”
Tags
খবর