ডা. দিপু মনি
দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ নজর দিবে সরকার। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি জানান, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সেক্টরে শিক্ষার্থীর হার শতকরা ২০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। সামনে এই হার আরও বাড়ানোর জন্য সরকার বিশেষ ভাবে মনোযোগী রয়েছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের মিজাপুরে মির্জাপুর এস.কে পাইলট মডেল সরকারি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরিক্ষা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটিই জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এ সময় সাংবাদিকদের অন্যান্য প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে শ্রেণী সমস্ত শিক্ষক শ্রেণী কক্ষে সময় না দিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে আরও কঠোর হবে সরকার। তবে কোচিং সেন্টারের ভিন্ন ভিন্ন ধরন থাকায় তা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষক সমিতির ব্যানারে যারা পাঠ্য বইয়ের বাইরে গাইড বা অন্যান্য বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও এটি আর বেগবান হবে। এছাড়াও যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে শিক্ষার মান ব্যহত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নীতিমালা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকালে মির্জাপুর পৌছে উপজেলা পরিষদ চত্বরের “মুক্তির মঞ্চে” বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপরই আসেন মির্জাপুর এস.কে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সবশেষে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি যোগ দেন ভারতেশ^রী হোমসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।
এ সফরকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন, ইউএনও আবদুল মালেক, মেয়র সাহাদাৎ হোসেন সুমন, ওসি একেএম মিজানুল হক ও স্থানীয় শীর্ষ আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দ।
Tags
খবর