প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই বলে থাকেন আমাদের সবচেয়ে বগসমস্যা জনসংখ্যা। আমি বলি এটা কোনো উদ্বেগের ব্যাপার নয়। যদি তাদের শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করে তৈরি করতে পারি তাহলে তারাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। টেকসই উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সর্বোত্তম পদ্ধতি-কৌশলসমূহের উপর পারস্পরিক বিনিময়ে আইডিইবি ও সিপিএসসি’র উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমেছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনই সরকারের মূল লক্ষ্য। তাই কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার গঠিত ড. কুদরত-এ-খোদা শিক্ষা কমিশনেও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার প্রণীত যুগোপযোগী শিক্ষানীতিতেও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় স্টুডেন্টের হার ৫০ শতাংশে করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে-এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এটা উদ্বেগ ব্যাপার নয়। যদি তাদের সঠিক শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করে তৈরি করতে পারি তাহলে তারাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কেননা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একমাত্র দক্ষ জনশক্তির দ্বারাই সম্ভব। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতাও জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়েছিলেন। বর্তমান সরকারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে। নারীদের জন্যেও আলাদা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নারীদের জন্যে বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলো হবে। প্রতিটি শহরে একটি করে কারিগরি বিদ্যালয় থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তবে সময় বাঁচানোর জন্যে প্রতিটি স্কুল ও কলেজে কারিগরি বিদ্যালয়ের কাজ চালানো হবে। সেখানে শিক্ষকের প্রয়োজন হবে। দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নেওয়া হবে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে টিটার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এবং ম্যানিলাভিত্তিক কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের এই সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। দেশীয় প্রকৌশলীদের পাশাপাশি এতে যোগ দিয়েছেন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত প্রকৌশলী।
Tags
খবর