
হ্যালো পাঠক বর্গ সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আজকে ডিজিটাল ডিসপ্লে সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
ডিজিটাল ডিসপ্লে সিস্টেম এর প্রকারভেদ
ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্টে পরিমাপকৃত রাশির মান ডেসিমেল সংখ্যায় প্রদর্শন করাকে ডিসপ্লে বলে। এই ডিসপ্লের জন্য নিম্নলিখিত ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা হয়।
- LED=Light Emitting Diode
- LCD=Liquid Crystal Display
- নিক্সি টিউব
- সেগমেন্টাল গ্যাস ডিসচার্জ ডিসপ্লে
উপরিউক্ত ডিজাইনগুলোর মধ্যে LED & LCD বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ডিজিটাল ডিসপ্লে সিস্টেম প্রধান ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়।
- সেগমেন্টাল ডিসপ্লে
- ডট ম্যাট্রিক্স
- সেভেন সেগমেন্টাল ডিসপ্লে
- ফোরটিন সেগমেন্টাল ডিসপ্লে
- 3*5 ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে
- 5*7 ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে
সেভেন সেগমেন্টাল ডিসপ্লে
যে পদ্ধিতিতে সাতটি ডিসপ্লে ডিভাইস যেমন LED বা LCD বা স্বতপ্রভ সেগমেন্ট ইংরেজি অংক আট এর ন্যায় সাজিয়ে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত দশটি অংশ প্রদর্শন করা যায় তাকে সেভেন সেগমেন্টাল ডিসপ্লে বলে।

প্রতিটি ডিসপ্লে ডিভাইসে সুইচের সাহায্যে সরবরাহ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ডিভাইস বা সেগমেন্ট on এবং off এর মাধ্যমে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ডিসপ্লে করা যায়।
3*5 ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে
3*5 ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে পদ্ধতিতে ১৫ টি ডিসপ্লে ডিভাইস তিনটি কলাম ও পাঁচটি সারিতে ম্যাট্রিক্স আকারে সাজানো হয় যাদেরকে সুইচের মাধ্যমে সরবরাহের সাথে সংযোগ করা হয়। ডিভাইস গুলোকে পর্যায়ক্রমিক off এবং on করে অক্ষর এর অংক প্রদর্শন করা হয়।
LCD( Liquid Crystal Display)
LCD একধরনের ডিজিটাল ডিসপ্লে ডিভাইস যা LED এর ন্যায় সেভেন সেগমেন্টাল ডিসপ্লে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

LCD আবার দুই প্রকার এর হয়
- ডাইনামিক সেকটারিং টাইপ
- ফিল্ড ইফেক্ট টাইপ
ডাইনামিক সেকটারিং টাইপ LCD
লিকুইড ক্রিস্টাল মেটারিয়ারে কয়েকটি রাসায়নিক যৌগের সমন্বয় যার স্বতপ্রভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রায় লিকুইড 15um পুরুত্বের ক্রিস্টাল স্বচ্ছ ইলেক্ট্রোডের মাঝখানে কাচের শিটের মধ্যে স্থাপন করা হয়।
যখন এই সেলে ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয় তখন LCD পদার্থের মধ্যদিয়ে চার্জ ক্যারিয়ার প্রবাহিত হয়। ফলে লিকুইডের সকল দিকে আণবিক প্রক্রিয়ার জন্য আলোকরশ্মি বিচ্ছুরিত হয় এবং সেলটি উজ্জ্বল দেখায়।
ফিল্ড ইফেক্ট টাইপ LCD
ফিল্ড ইফেক্ট টাইপ LCD এর গঠন ডাইনামিক সেকটারিং টাইপ LCD এর মতো হয়ে থাকে। তবে এর গ্লাস শিটের ভেতরে দুটি পাতলা পোলারাইজিং অপটিক্যাল ফিল্টার স্থাপন করা হয়।
এই LCD ম্যাটারিয়াল টুইস্টেড নিম্যাটিক টাইপ হয়। যখন এর ভেতর দিয়ে আলো প্রবাহিত হয় তখন এটা পাক খায়। এই আলো অপটিক্যাল ফিল্টার এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং উজ্জ্বল দেখায়।
সুবিধা ও অসুবিধা
এতক্ষণ তো লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে জানলাম এবার এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং এর ব্যবহার একটু জেনে নেই
সুবিধাঃ
ক) এর পাওয়ার অপচয় কম।
খ) কম ভোল্টেজ অপারেটর করে।
গ) দামে সস্তা হয়।
ঘ) কম কারেন্ট গ্রহণ করে।
ঙ) কম ফ্রিকুয়েন্সি অপারেটর করে।
অসুবিধাঃ
ক) LCD একটি ধীর ডিসপ্লে ডিভাইস।
খ) শুধুমাত্র এসি কারেন্টে ব্যবহার করা যায়।
গ) স্থাপনে যায়গা বেশি লাগে।
ব্যবহারঃ
ব্যবহার করা হয় ক্যালকুলেটর হাত ঘড়ি এবং সেভেন সেগমেন্টাল ডিসপ্লেতে।
গ্যাস ডিসচার্জ ডিসপ্লে
এই পদ্ধিতিতে এক ধরনের কোল্ড ক্যাথোড ডিসচার্জ টিউব ব্যবহার করা হয় যাকে নিক্সি টিউব বলে। এই নিক্সি টিউবে একটি পজেটিভ ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা হয়; যাতে পজেটিভ ভোল্টেজ সরবরাহ দেওয়া হয় এবং একে অ্যানোড বলে।
আবার দশটি পৃথক তারের ন্যায় ক্যাথোড ব্যবহার করা হয় যাদেরকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ইলেকট্রোড গুলো একটি গ্যাস পূর্ণ গ্লাস ইনভেলপ দ্বারা ঘিরে দেওয়া হয়

টিউবের নিচ থেকে কানেকটিং পিন বের করা হয়। এই টিউবের মধ্যে সাধারণত নিওন গ্যাস ব্যবহার করা হয় যা কমলা লাল রংয়ের আলো প্রদর্শন করে। কিভাবে কাজ করে সেটা জানলাম। এবার এই ডিসপ্লে সিস্টেম এর সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নেওয়া যাক।
সুবিধা
ক) কম পাওয়ার অপচয় হয়।
খ) এটা অধিকতর উজ্জ্বল ডিসপ্লে পদ্ধতি।
গ) প্রবাহিত কারেন্ট কম।
অসুবিধাঃ
ক) আকার আয়তন বেশি এবং ওজনে ভারি।
খ) ভঙ্গুর গ্লাস টিউব ব্যবহার করা হয়।
গ) অপারেটর করতে উচ্চ ভোল্টেজ এর প্রয়োজন হয়।
Tags
ইলেকট্রনিক্স