কারিগরি শিক্ষায় বয়সের বাধা তুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার : শিক্ষা উপমন্ত্রী


শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অসংখ্য গ্র্যাজুয়েটস তৈরি করছে যাদের কোনো কারিগরি দক্ষতা নাই। ফলে অনেক গ্র্যাজুয়েটসের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় না। আমাদের বিপুল সংখ্যক জনশক্তি শ্রমবাজারের বাহিরে থেকে যায়। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমরা ভিশন ২০৪১ এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করতে পারব না। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হব না। এ সব বিবেচনায় নিয়ে সরকার গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা বাড়ানোর বা রি-স্কিল করার চিন্তাভাবনা করছে। এজন্যেই কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।শনিবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ স্টিম (সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স) সোসাইটি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের উদ্যোক্তরা অনেক সময় বলে থাকেন তারা দক্ষ জনশক্তি পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিয়ে আসতে হয়। আবার চাকরিপ্রার্থীরা অনেক সময় বলে থাকেন তারা চাকরি পাচ্ছেন না। দুই পক্ষের মধ্যে গ্যাপ তা পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এজন্য ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লিংকেজ খুবই জরুরি। 
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষাকে শুধুমাত্র মেধাবীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সব শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে সাইন্স, আর্টস, কমার্স নামে কোনো বিভাজন থাকবে না। উন্নত বিশ্বে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে একই ধারায় পড়াশোনা করতে হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দের বিষয় অধ্যয়ন করে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী সভাপতিত্বে আর্কিটেকচার বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল মাওলার সঞ্চালনায় এই ওয়েবিনারে আরও সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার, যুক্তরাষ্ট্রের মনমথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. গোলাম এম মাতবর, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধি ড. সঞ্জীব কে শ্রীভাস্টাভা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসি প্রফেসর ফায়েকুজ্জামান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. লুৎফুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলামসহ বাংলাদেশের প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
Previous Post Next Post