দেখতে অবিকল লিওনেল মেসির মতো। সেই চেহারাকে কাজে লাগিয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলত ইরানের এক ব্যক্তি। আর এই সম্পর্ক গড়াত বিছানা পর্যন্ত। এভাবে এক এক করে মোট ২৩ জনকে শয্যাসঙ্গী করেছে ওই ব্যক্তি। তাও মাত্র দু’বছরের মধ্যে।
ইরানের যুবক রেজা পারাস্তেশকে দেখতে অবিকল বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসির মতো। দু’বছর আগে তার বাবা তাকে মেসির জার্সি পরে পোজ দিতে বলেন। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
‘নকল মেসি’ হিসেবে বেশ পরিচিতিও লাভ করেন ইরানের ওই যুবক। অভিযোগ, এরপর থেকে নিজের দেশের মহিলাদের ফাঁদে ফেলার জাল বেছাতে শুরু করেন তিনি।
এরমধ্যে বার্সা অধিনায়কের মতোই নিজের চুল ও দাড়ি ছাঁটা শুরু করেন রেজা পারাস্তেশ। তবে মেসির ব্যক্তি জীবন নিষ্কলুষ হলেও উল্টো ঘটনা ঘটেছে ‘নকল মেসি’র ক্ষেত্রে।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘নকল মেসি’। ভাবমূর্তি কলুষিত করার জন্য এমন অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
প্রথম যখন প্রচারের আলোতে আসেন, তখন তার সঙ্গে সেলফি তুলতে ইরানের হামাদেন শহরে জমে গিয়েছিল ভক্তদের ভিড়। শৃঙ্খলা ফেরাতে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে রেজাকে থানায়ও নিয়ে যায় পুলিশ।
দেখতে মেসির মতো হওয়ায় রেজার বাবা তাকে বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি কিনে দিয়েছিলেন। কাতালানদের হয়ে এই নম্বরের জার্সি পরে মাঠে নামেন মেসি। জার্সি পরে রেজা যখন রাস্তায় নামেন, তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন আশপাশের মানুষ। আবদার তোলেন একটি সেলফি তোলার।
দেশটির বিজ্ঞাপনের বাজারেও বেশ কদর রয়েছে ইরানি মেসির। বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও হয়। নকল মেসির অভিনয় যাতে ভালোভাবে করতে পারেন, সেজন্য নিজের ফুটবল দক্ষতা বাড়াতেও শুরুতে বেশ মনযোগী ছিলেন রেজা।
Tags
খবর